পরকীয়া প্রেমে অন্ধ হয়ে ভয়ঙ্কর লীমা!

পরকীয়ার মাধ্যমে ধ্বংস হয় পরিবার নষ্ট হয়ে যায় চরিত্র কিন্তু পরকীয়ার মাধ্যমে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত হওয়ার কাহিনী নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে এর বৈশিষ্ট্যে। তারই বাস্তব প্রমান মিলেছে গাজিপুরের জয়দেবপুর এলাকার উকিল মিয়ার স্ত্রী লীমা বেগম (২৫) ও একই এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকা নওগা জেলার সাপাহার থানার পাতারী পাড়া এলাকার ছালেক (২৬) এর মাঝে।

চার বছরের ফুটফুটে ছেলে সন্তানের জননী লীমা বেগম গাজিপুরের জয়দেবপুরের একটি গার্মেন্টস এ চাকুরী করতেন। তার স্বামী উকিল মিয়া বাসের ড্রাইভার। স্বামীর বাড়ি জামালপুর জেলার বকশিগঞ্জে হলেও স্ত্রীর চাকুরীর সুবাদে তারা জয়দেবপুরে বাসা ভাড়া থাকতো। পরে পাশের বাসায় থাকা মাদক ব্যবসায়ী ছালেকুরের সাথে দেখা হয় লীমার। এক পর্যায়ে তাদের মাঝে গড়ে ওঠে কথিত প্রেম নামের পরকীয়া।

জীবনে আসা নতুন এই প্রেমিক মাদক ব্যবসায় অল্পদিনেই আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হওয়ার স্বপ্ন দেখায় লীমা বেগম কে। বড় লোক হয়ে নতুন প্রেমিক ছালেকুরের সাথে ঘর বাধার জন্য মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে লীমা। পরকীয়ায় জড়িয়ে লীমা স্বামীর সাথে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে৷ এতে তার স্বামী ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়ি ছেড়ে একমাস আগে চলে যায়। অবশেষে রবিবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬.৩০ টার দিকে মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের অভিযানে গ্রেপ্তার হয় তারা। সাথে সাথে ভেঙ্গে যায় তাদের অন্যায় স্বপ্নের ভিত।

আটক মাদক ব্যবসায়ী ছালেকুর জানায়, তার কম্পিউটারে গান ডাউনলোড দেয়ার ব্যবসা আছে। এ ব্যবসার আড়ালে সে মাদক ব্যবসা করে। এরই এক পর্যায়ে পাশের বাড়ির লীমার সাথে তার সম্পর্ক গড়ে উঠে। দীর্ঘদিন যাবত ইয়াবা এনে লীমার হাতে দিতো৷ লীমা গার্মেন্টেসের কর্মীদের মাঝে ইয়াবা বিক্রি করতো।

মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (পুলিশ পরিদর্শক) মিজানুর রহমান বলেন, দিনাজপুর থেকে ঢাকাগামী হানিফ পরিবহনের একটি বাস তল্লাশী করে ৩ হাজার পিস ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে ধরা পরে এই মাদক দম্পতি।

এদিকে, স্বাভাবিকভাবে টেকনাফ হয়ে উত্তরাঞ্চলে ইয়াবার চালান আসলেও সম্প্রতি উত্তরাঞ্চল থেকে উল্টোপথ দিয়ে আসা অহরহ ইয়াবার চালান ধরা পড়ছে। আ এ ঘটনা গুলো ভাবিয়ে তুলেছে সচেতন মহলকে।